অফিস রিপোর্টার:
কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের দুর্গম নারানগিরি বড়পাড়ায় গত ১৫ই এপ্রিল অনুমানিক সন্ধ্যা বেলা ৪ ঘটিকার সময়ে, ৫৩টি বসত ঘর দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১২ কোটির ও বেশি। বর্তমানে এসব ঘরের লোকজন খোলা আকাশে ও গাছের নিচে অবস্থান নিচ্ছে। নারানগিরি এলাকাটি পাহাড়ের দুর্গম স্থানে যেখানে নেই কোন বিদ্যুৎসংযোগ, যাতায়াতের যানচলাচলের ব্যবস্থা। নতুন বছর আগমনে উপলক্ষে সবাই যার যার মতো আনন্দ উৎসবের অনুষ্ঠানে বা বিহারে যায় বলে জানায়। একটি বিদ্যুৎহীন দুর্গম এলাকা হয়ে আগুনে এমন এতগুলো পরিবারের মাঝে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া দুঃখজনক বলে ধরে নিচ্ছে। কিন্ত অগুনের সুত্রপাত কিভাবে ঘটলো তা কেউ নিশ্চিত বলতে পারেনা। উক্ত এলাকার কয়েক ব্যাক্তি থেকে জানা যায় তারা ধারণা করছে এটি একটি পূর্বের প্রস্তুতি ও ষড়যন্ত্র, আর অনেকে বলছে- সোলার প্যানেল থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। উক্ত বিষয়ে রাংগামাটি জেলা প্রশাসকের কাছে খবরটি জানালে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি পরিবারের প্রতি ২০ কেজি চাউল ও নগদ এক হাজার টাকার প্রদান করা হয়েছে। এদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা ও ত্রাণ সামগ্রী দিতে কাপ্তাই জোন কমান্ডার, উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার, ভাই চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ তনচংগ্যা, মহিলা ভাই চেয়ারম্যান নুর নাহার বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান সায়ামং মারমা, সাংসদ প্রতিনিধি বিক্রম মারমা সহ ক্ষয়ক্ষতি স্থানে গিয়ে স্ব স্ব পরিদর্শন ও সমবেদনা জানিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিবারের আবাস্থলের জন্য তাদের আরো ত্রাণ সামগ্রী ঢেউটিন খাদ্য বরাদ্দ ইত্যাদি প্রয়োজন হয়ে পরেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস